একবিংশ শতকের সূচনালগ্নে নোয়াখালী জেলার প্রাণকেন্দ্র মাইজদী প্রধান সড়কে অবস্থিত ইমপালস মেডিকেল ইন্সসটিটিউট এন্ড ম্যাটস ২০১২ সালে স্থাপিত হয়।
সীমিত পরিসরে যার যাত্রা শুরু, দীর্ঘ ৫ বছর পেরিয়ে আজ নোয়াখালীর শিক্ষাজগতে তার অবস্থান সুদৃঢ় ও নেতৃস্থানীয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই স্থানেই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
২০১২ সালে অধ্যক্ষ সিরাজুস সালেক নাজিম স্যারের দায়িত্বভার গ্রহণ করার সাথে প্রতিষ্ঠানের অভিযাত্রা শুরু হয়। সুদীর্ঘ ৫ বছর সফলভাবে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করে দক্ষ মানব সম্পদ উপহার দেয়ার লক্ষ্যে বোর্ড ও মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা ও উন্নত বিশ্বের শিক্ষানীতির অনুসৃত নীতি ও পদ্ধতির আলোকে কলেজে চালু হয়েছে শিক্ষাদানের নিজস্ব পদ্ধতি।
প্রথিতযশা সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ জাহাঙ্গির আলমের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সঠিক পথনির্দেশনায় এবং গভর্নিং বডির সম্মানিত সদস্যদের দক্ষ পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানে কলেজটি বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে। যোগ্য অধ্যক্ষের সুদক্ষ পরিচালনা, আন্তরিক, সৎ ও যোগ্য শিক্ষকম-লীর শিক্ষাদান, সুন্দর, স্বচ্ছ ও প্রত্যাশিত শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ এবং সুপরিকল্পিত প্রগতিশীল শিক্ষা পদ্ধতির প্রয়োগ কলেজটিকে আজ একটি গৌরবোজ্জ্বল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, ইমপালস মেডিকেল ইন্সটিটিউট শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও মানবীয় চেতনার বিকাশ ঘটিয়ে জাতীয় অগ্রগতিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
প্রশাসনিক কাঠামো
ইমপালস মেডিকেল ইন্সটিটিউট একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক অনুমোদিত মেডিকেল এসিস্টেন্ট ট্রেনিং কোর্স, ল্যাবরেটরী, ফার্মাসি সহ বিভিন্ন কোর্সে পাঠদান করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নিয়মনীতি অনুযায়ী গঠিত গভর্নিং বডি দ্বারা পরিচালিত। গভর্নিং বডি প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় নীতি নির্ধারণ করে এবং সে সকল নীতি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। উক্ত নীতিসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কলেজ প্রশাসনিক কাঠামোকে নিম্নরূপে বিন্যস্ত করা হয়েছে :
অধ্যক্ষ : অধ্যক্ষ হচ্ছেন কলেজের নির্বাহী প্রধান। তিনি গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তের আলোকে কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যাবলি পরিচালনা করেন।
বিভাগীয় প্রধান/কো-অর্ডিনেটর : যে সকল বিষয়ে কোর্স প্রবর্তন করা হয়েছে সে সকল বিষয়ে একাডেমিক কার্যাদি সম্পাদনে অধ্যক্ষকে সহায়তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতি বিষয় থেকে একজন শিক্ষককে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিভাগীয় প্রধানের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। চার বছর মেয়াদি কোর্সের একাডেমিক কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে অধ্যক্ষকে সহায়তা করার লক্ষ্যে প্রত্যেক কোর্সের জন্য একজন শিক্ষককে কো-অরডিনেটরের দায়িত্ব দেয়া হয়।
দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক :
(i) ক্লাস পর্যবেক্ষণ : দুইজন শিক্ষককে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্লাস পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয়।
(ii) পরীক্ষা পরিচালনা : প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা যেমন ক্লাশ টেস্ট, সিমেস্টার পরীক্ষা, প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট এবং বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তিনজন শিক্ষককে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়।
(iii) শ্রেণি শিক্ষক : প্রতিটি সেকশনে একজন করে শ্রেণি শিক্ষক নিয়োজিত থাকেন যারা ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা সংশ্লিষ্ট শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস টেস্ট, অ্যাসাইনমেন্ট, সিমেস্টার পরীক্ষার ফলাফল এবং ক্লাস উপস্থিতির হার সংগ্রহ, বিন্যাস, প্রকাশ ও সংরক্ষণ করেন। এছাড়াও তারা ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে কলেজ প্রশাসন ও অভিভাবকদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে।
(iv) গাইড টিচার : উক্ত কোর্সসমূহে বিভিন্ন পর্বে ছাত্র/ছাত্রীদের সার্বিক উন্নয়নের দায়িত্ব পালনের জন্য বিভিন্ন পর্বের প্রতি সেকশন/বিভাগের জন্য এক বা একাধিক গাইড টিচারের ব্যবস্থা রয়েছে।